জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাশেদা বেগম ইতিপূর্বে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
জানা গেছে এর আগে আতাউরের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিল।আদালতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান গত ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামি আতাউর রহমানকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করলেও সে পালিয়ে যায় ।
আতাউর রহমান বর্তমানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য হিসেবে আছেন।
আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, মামলায় আসামি আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। আতাউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলা তুলতে রাশেদাকে হুমকি দেয়ার পর এবার হত্যার চেষ্টা করে।
আতাউরের দ্বিতীয় স্ত্রী রাশেদা অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল আতাউর রহমানের সঙ্গে দুই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়। পরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে তিনি গোপন অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে আসেন। এ সময় তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন আতাউর। পরে কাবিননামা নিয়ে বিভিন্নস্থানে দেন-দরবারও করেন। কিন্তু উল্টো তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হলে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিতে হবে বলে দাবি করেন আতাউর। কিন্তু তা দিতে না পারায় তাকে স্বীকৃতি দেননি। সর্বশেষ গত ২ জুন ভাইদেরকে নিয়ে রাশেদা বেগম তার স্বামীর বাড়িতে যান। কিন্তু এরপরও জামায়ত নেতা আতাউর প্রভাব দেখিয়ে তাকে ঘরে তুলে নেননি। উল্টো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না দিয়ে স্ত্রীর অধিকার চাইলে তার ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখান। এর প্রেক্ষিতে তিনি মামলা করেছিলেন। এবার দলবল নিয়ে তার উপর আক্রমণ করলে অন্যের বাড়িতে লুকিয়ে থেকে রক্ষা পান।
এদিকে এ মামলার ব্যাপারে আতাউর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, গত বছরের ১১ এপ্রিল তিনি ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লক্ষ্মীপুর শাখায় কর্মরত আয়া রাশেদা বেগমকে গোপনে বিয়ে করেন জামায়াতের সাবেক আমির আতাউর। কিন্তু স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে বিষয়টি ফাঁস করে দেন ওই আয়া। বিষয়টি ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জামায়াতের নেতাদেরকে জানান রাশেদা বেগম। নগরীর রাজপাড়া থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী আবদুর সাত্তারের কাছে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিয়ে (কাবিননামা নম্বর ০৬/২০১৬) করেন আতাউর রহমান।
কিন্তু বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেলেও তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
Like this:
Like লোড হচ্ছে...
Related
Posted on মার্চ 19, 2018 at 6:29 অপরাহ্ন in প্রতিবেদন | RSS feed
|
জবাব |
Trackback URL
মন্তব্য করুন