‘হিজড়া’ পরিচয়ে ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত

নারী বা পুরুষের পাশাপাশি কেউ চাইলে হিজড়া পরিচয়েও ভোটার হতে পারবেন, এমন উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও ভোটার তালিকা অাইন ও বিধিমালায় বিষয়টি না থাকায় এতোদিন এটি করা যায়নি। তাই কমিশন ভোটার তালিকা অাইন-২০০৯ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ সংশোধন করার উদ্যোগ নিচ্ছে।

বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অাসার কথা রয়েছে। অার এরকমটি হলে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য নিবন্ধন ফরমের লিঙ্গ পরিচয় ছকে নারী ও পুরুষের সঙ্গে হিজড়া যোগ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়।

২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় হিজড়াদের স্বীকৃতি বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। রাষ্ট্রপতির অাদেশক্রমে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালায়ের সহকারী সচিব মো. মুখলেছুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে হিজড়া লিঙ্গ (hijra) হিসেবে চিহ্নিত করিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিল।’

যদিও ২০১৪ সালে কাজী রকিবউদ্দীন অাহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৪ সালে ভোটার তালিকা নিবন্ধনের খসড়া ফরমে হিজড়া লিঙ্গটি যোগ করেছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকা অাইন ও বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা। এখন পর্যন্ত কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে নারী বা পুরুষ লিঙ্গ বেছে নিতে হয়।

এ বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, যেহেতু সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই কমিশন তাদেরকে ভোটার করার উদ্যোগ নিচ্ছে। অার যেহেতু ভোটার তালিকা অাইন ও বিধিতে বিষয়টির উল্লেখ নেই, তাই এটি করতে হলে অাগে ভোটার তালিকা অাইন ও বিধিমালা সংশোধন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.