হরতাল অবরোধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িতদের অনুপ্রানিত করতে যৌনজেহাদের আহবান জানিয়েছে বিএনপি জামাতের অনলাইন একটিভিস্টরা। জামাতের যুক্তরাষ্ট্র শাখার রুকন এবং বাশের কেল্লা ও মধুময় রাতের গল্প পেজের এডমিন সাবিনা আহমেদের একটি স্ট্যাটাসে যৌনজেহাদের প্রকাশ্য ঘোষনা আসার পর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ কাহিনী।
গতকাল সাবিনা আহমেদ তার একটি স্ট্যাটাসে যারা আন্দোলনে অংশ নিতে পারছে না তারা যেন আন্দোলনকারীদের রাতে বাসায় আশ্রয় দিয়ে সন্তুষ্ট করে তার আহবান জানায়।
সাবিনার আহবানে সাড়া দিয়ে মনি মিয়া নামে একজন মন্তব্য করে, আমার বাসায় কেউ নেই তবে দুই জনের বেশি পারবো না।
সিরিয়ার দৃষ্টান্ত দিয়ে এ আহবান জানানোর পর সমালোচনা শুরু হলে এবং কয়েকজন সাংবাদিকের দৃষ্টিগোচর হলে স্ট্যাটাস মুছে ফেলা হয় এবং বাসায় আশ্রয় দিয়ে যৌনজেহাদের পরোক্ষ আহবান জানায় সাবিনা।
জানা গেছে সাবিনা কয়েকদিন আগেই ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের সিক্রেট গ্রুপে এ আহবান জানায়। যৌনজেহাদের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ছাত্রদল নেতা জনি রোমানা নামে এক অনলাইন একটিভিস্টের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। জনির সাথে ফেইসবুকে যোগাযোগের কথাও তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ আছে। এর আগে ক্যপ্টেন নিমো ওরফে শোভন নামে এক একটিভিস্টের সাথে যৌন কেলেংকারীর কারনে আলোচিত হয় রোমানা।
উল্লেখ্য সাবিনার অনেকগুলি ফেক আইডির একটি ময়না আখতার, এ আইডিতে ৩০ পারা কুরআনের বাংলা’ পেজের পাশাপাশি সেক্সুয়াল পেজেও লাইক দেয়া আছে এবং বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ছবি পোস্ট দেয়া হয়েছে।
বিএনপি জামাত কর্মিদের যৌনজেহাদ সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছে ছাত্রী সংস্থার কেন্দ্রীয় নেত্রী মুহসিনা তাবাসসুম। অন্যান্যদের মধ্যে নাসরিন বেগম, ফাতিমা ফারহানা, আলিয়া নরিন, মরজিনা আখতার অন্যতম। এছাড়া ফারজানার তত্ত্বাবধানে জামাতের নারী সদস্যরা বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় আন্দোলন করতে আসা জামাত শিবিরের ক্যাডারদের সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেছে তারা।
ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের কি সিরিয়ার নারীদের পরিনতি ভোগ করবে এ প্রশ্ন অনেকের।