কুমিল্লার জেলার নাঙ্গলকোটের মোকরা ইউনিয়নের মোকরার পীর নেছারের বিরুদ্ধে বাল্য কাল থেকেই সমকামিতার গুঞ্জন আছে। মোকরা মাদ্রাসার সুন্দর কোন ছাত্র পীর নেছারের কু নজর থেকে রেহাই পায় না। সম্প্রতি ৮ম শ্রেনীর ছাত্র মুরাদ, ৫ম শ্রেনীর ছাত্র ওমর ফারুক কে বলৎকারের অভিযোগ ওঠেছে। বলৎকারের বিষয় অন্যের ওপর চাপানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অত্র মাদ্রাসা শিক্ষক মাওঃ ছালেহ অহম্মদকে ফোন করে এনে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকায় এবং দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়া হয়।
সেখানে আগে থেকেই বসা ছিলেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, মাওঃ আনোয়ার হোসেন, জাহিদুল মাওলা চৌধুরী হেলাল ও জয়নাল মিস্ত্রি। এক পর্যায়ে বলৎকারের বিষয়ে মাওঃ ছালে আহম্মদকে জিজ্ঞাসা করে তাকে মারধর করার জন্য চেষ্টা চালানো হয়। মাওঃ ছালেহ প্রাণ রাক্ষার জন্য জোরে জোরে চিৎকার শুরু করলে পীর নেছারের পেটুয়া বাহিনী ঘটনা আরো বেশী জানাজানির ভয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। রুম থেকে বাহির হওয়ার পর মাওঃ ছালেহকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছে। প্রাণ ভয়ে কোন কথা না বলে তিনি বাড়ীতে চলে যান।
বর্তমানে মাওঃ সালেহ প্রাণ ভয় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাওঃ ছালেহ’র মতো অনেক শিক্ষকই বর্তমানে পীর নেছারের সন্দেহের তালিকায় আছেন। যে সমস্ত শিক্ষক ও ছাত্র পীর নেছারের কু-কর্মের পক্ষে থাকবেন তারা মোকরা মাদ্রাসায় নিরাপদ, আর যারা কু-কর্মের বিপক্ষে থাকবেন তারা লাঞ্ছিত হয়ে মোকরা মাদ্রাসা থেকে বিদায় নিতে হবে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, প্রতি রাতেই পীর নেছারের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয় সুন্দর সুন্দর ছেলেদেরকে এবং সফরের সময়ও তার সফর সঙ্গী হিসেবে সুন্দর সুন্দর ছেলেরা থাকেন। ছেলে নিয়ে রুমে রাত্রি যাপন করা ও সফর করাকে অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। এগুলো দেখে মনে হয় পীর নেছারের কুকর্মের সাহস দিন দিন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর শেষ কোথায় গিয়ে হয় তা দেখার জন্য হয়ত সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে।