দিনাজপুর শহরের বাহাদুরবাজার টিএন্ডটি সড়কে কাঁঠালপাতার হাট বসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ১৭ সুবিধাবঞ্চিত পরিবার। প্রতিদিন বসে এই হাট। কাঁঠাল পাতা বিক্রি করেই তাদের অন্নের সংস্থান হয়। কিন্তু জীবিকা নির্বাহের এই সামান্য ব্যবস্থায়ও চাঁদার ভাগ বসিয়েছে ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ছাগলের সবচেয়ে উত্কৃষ্ট ও প্রিয় খাবার হচ্ছে কাঁঠাল পাতা। দিনাজপুরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাগল এবং কাঁঠাল গাছ থাকায় শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাগল পালনকারীরা এসে এই কাঁঠাল পাতা কিনে নিয়ে যায়। এই পাতার বাজার বসে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এই পাতার হাটে যারা পাতা বেচাকেনা করেন তাদের সিংহভাগই নির্যাতিত বা বঞ্চিত নারী। ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তারা এ ব্যবসা করেন। প্রায় ১৭ জন এ ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। কাঁঠাল পাতার আঁটি বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ২০ টাকায়। যা লাভ হয় তাতেই পরিবার নিয়ে চলতে হয়। প্রতিটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে ৬ জন। কিন্তু শিবির ক্যাডারদের কারণে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।
জানা গেছে, গত ২ বছর যাবত শিবির নেতা আবু আলিফ, আরমান হোসেন, আলাউদ্দীন ইলিয়াস হোসেনসহ কয়েকজন প্রতিদিন পাতা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। পাতা ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে এর নেপথ্যে রয়েছে শিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম ও সৈয়দ আবুল খায়ের। চাঁদাগ্রহণকারীরা মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।
এক বিক্রেতা জানান, পাতা বিক্রির কাজ করেই তার পরিবারের ৫ জন সদস্য কোন রকমে বেঁচে আছে। মাদকাসক্তদের চাঁদা না দিতে হলে আরও স্বচ্ছলভাবে চলতে পারতো।
পাতা বিক্রেতা মাহফুজা জানান টাকা না দিলে পাতা ব্যবসায়ীদের সমস্যা করে তারা। পাতা ক্রেতাদের থেকেও অনেক সময় টাকা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে এক ক্রেতাকে প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, তার ৫ টি খাসি আছে। অন্য খাবার সহজলভ্য নয় বলে এখান থেকে পাতা নিতে হয়।
কাঁঠাল পাতার হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতারা আমাদের প্রতিনিধিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুরোধ করেন।