শক্ত মজবুত টেকসই আর দীর্ঘস্থায়িত্বের কারনে ঞজওঅঘএখঊ ইজঅঘউ এর টায়ার টিউবের কদর দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক আগ থেকেই, সুদূর চীন থেকে ট্রায়াঙ্গল ব্রান্ডের টায়ার টিউব আমাদের দেশে আমদানী হচ্ছে। এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানীকৃত নিন্মমানের টায়ার টিউব-এ TRIANGLE BRAND, MADE IN CHINA লিখে বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীতে নিউ ইস্কাটন রোড, বাংলা মোটর, কাকরাইল, বিজয় নগরে চিহ্নিত কিছু দোকানে এ ধরনের নকল টায়ার টিউব প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও পুরান ঢাকার বাংলা বাজারস্থ নর্থব্রুক হল রোড অবস্থিত মেসার্স রেক্সিমকো এই দু’নম্বরী বাণিজ্যের মূলহোতা। এক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, মেসার্স রেক্সিমকো ৫৮-৫৯ নর্থব্রুক হল রোড ঢাকা একই ব্রান্ডের একই সাইজের (TRIANGLE BRAND, CHINA) টায়ার টিউব অন্যান্য আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক মূলের অর্ধেকে সি,আর,এফ কোম্পানী প্রত্যয়ন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিশাল অংকের সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রীতিমতো পণ্য খালাস করে নিচ্ছেন।
অভিযোগে আরো জানা গেছে, মেসার্স রেক্সিমকো ৫৮-৫৯ নর্থব্রুক হল রোড গত ১৬/০৪/২০০৯ ইং তারিখ এবং ০৫/০৫/২০০৯ ইং তারিখ চায়না থেকে টায়াঙ্গল ব্রান্ডের তিন সাইজের টায়ার টিউব আমদানী করে। যার সি,আর,এফ নং বিডিএইচ-২০০৯, ৮৬৩৫ ১সি। তারিখ-১৬/০৪/২০০৯ ইং এবং বি/ই নং-সি ৫৪৩৭৬, তারিখ ০৫/০৪/২০০৯ ইং। নিন্মের মূল্য তালিকাটি অনুসরণ করলেই বুঝা যাবে মেসার্স রেক্সিমকো কি পরিমাণ জালিয়াতি করেছে। Size L/c Value CRF Value OriginalValue 550-13-8 US$ 7.00 US$ 15.10 US$ 18.87 750-16-14 US$ 18.00 US$ 26.69 US$ 50.35 1000R20-18 US$ 110.00 US$ 110.71 US$ 163.24
এই মূল্যের সাথে অরিজিনাল মূল্য তালিকা ও অন্য আমদানীকারকের সি.আর.এফ নং ২০০৯, ৭০৫০-১ সি তারিখ ০২/০৬/২০০৯ ইং সংযুক্ত করা হলো। ২টা সি,আর,এফ পর্যালোচনা করলেই রাজস্ব ফাঁকির মূল রহস্য জানা যাবে। গত ১৫/০৬/২০১০ ইং তারিখে উক্ত প্রতিবেদক সরেজমিনে মেসার্স রেক্সিমকো এর অনিয়ম দূর্নীতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থান করে কতিপয় টায়ার টিউব ব্যবসায়ীর সংগে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, মেসার্স রেক্সিমকো দূর্নীতি বাণিজ্যের মূল হোতা হচ্ছে আবুল কালাম আজাদ। তিনি অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি অসাধু চক্রের সাথে তার সম্পর্ক খুবই মধুর।
তাছাড়া মেসার্স রেক্সিমকো এর মালিক একজন সুবিধাবাদী হিসেবে উল্লেখ করে তারা জানান, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তিনি দূর্নীতি লুটপাট বাণিজ্য চালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের একজন ব্যস্ত নেতা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানান, রেক্সিমকো এর মালিকের দু’নম্বরী কর্মকান্ডের কারণে প্রকৃত টায়ার টিউব ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার সম্মুখীন হয়েছেন।
প্রতিবছর টায়ার টিউব আমদানীর সাথে সরকারকে কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বলে রেক্সিম কোং এর মালিকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক এতটাই ধূর্ত যে কাগজপত্রে যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন আসলে সেটি উক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি গোডাউন মাত্র। পাশের আরেকটি বিল্ডিংয়ে বসে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক টায়ার-টিউব ক্রয় বিক্রয়সহ যাবতীয় দু’নম্বরী কাজ সম্পন্ন করেন বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় সঠিক মূল্যে যারা টায়ার টিউব আমদানী করছেন তাদের স্বার্থে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধকল্পে রেক্সিম কোংসহ অভিযুক্ত সি,আর,এফ কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন বৈধ টায়ার টিউব আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য মালিক।
মন্তব্য করুন