স্বনামধন্য আশ্রম গুরু আশারাম বাপুকে তরুণী মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করলো রাজস্থান পুলিশ। আশ্রমের বাপু বলে খ্যাত তথাকথিত ধর্ম প্রচারকের বিরুদ্ধে ওই মেয়েটি তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ দায়ের করে। দু’সপ্তাহ আগে যোধপুরে মায়ের সঙ্গে বাপুর আশ্রমে যাওয়ার পর সেখানে বাপু তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে।
অভিযোগে মেয়েটি বলেছে, ধর্মগুরু আশারাম বাপু তাকে নগ্ন করে শরীরের উপর খামচি মারে। আর চিৎকার করায় সে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অভিযোগে মেয়েটি জানায়, আশারাম মেয়েটিকে ওরাল সেক্সের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখান করে। গত ১৫ আগস্ট রাত দশটায় যোধপুর শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে শ্লীলতাহানীর এই ঘটনা ঘটে। আসারামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিল মেয়েটি।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এক দশকের বেশি সময় ধরে এ বাপুর অনুসারী বলে জানিয়েছে।
১১ দিনের বহু নাটক শেষে অবশেষে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হলেন আশারাম বাপু । নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অবশেষে ভারতের এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে তার ইন্দোরের আশ্রম থেকে গ্রেফতার করেন জোধপুর পুলিশ।
এর আগে শনিবার সকালে ওই আশ্রমের সামনেই দুই সাংবাদিকের উপরে চড়াও হন আশারামের কিছু মহিলা সমর্থক। সাংবাদিকদের মারধর করে তারা তাদের ক্যামেরাও ভেঙে দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে আশারামকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল জোধপুর পুলিশ। কিন্তু, নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন আশারাম। শনিবার বিকেলের দিকে ইন্দোরের আশ্রমে পৌঁছে যায় জোধপুর পুলিশের একটি দল। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পরে আশারামকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।