জোরপূর্সবক মকামিতার জের ধরে বন্ধুর হাতে খুন হন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেতু (১৭)। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। খুনের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
সেতুর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার এসআই শেখ মোঃ নাসিরউদ্দিন। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সেতুর অভিভাবকেরা লাশ নিতে মর্গে আসেননি।
এসআই নাসির বলেছেন, অভিভাবকদের রাতের মধ্যে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এদিকে সেতু হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু মেজবাউল ইসলাম ও পুনম মণ্ডলকে পুলিশ আটক রেখেছে। তাদেরকে এজাহারের আসামি করা হবে। সেতু খুন হওয়ার পরই এ দুজনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেজবাউল খুনের দায় স্বীকার করেছে। আরেক বন্ধু পুনম মণ্ডল সেতুর কাছে বেড়াতে এসেছিল বলে জানিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেজবাউল বলেছে, ‘সেতু জোরপূর্বক তার সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। আপত্তি করায় সেতু তার ওপর চড়াও হয়। এরপর হাতাহাতির এক পর্যায়ে সে মেসে থাকা বটি দিয়ে কুটিয়ে সেতুকে হত্যা করে।’ তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে সেতুর লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। অভিভাবকরা আসলে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। নিহত সেতু হাজারীবাগের ১৭-১ তল্লারবাগ ভবনের চতুর্থ তলায় বন্ধুদের সঙ্গে মেসে থাকত। গত শুক্রবার বিকালে তল্লারবাগের বাসায় সে খুন হন।