দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পিকনিক স্পটে স্থানীয় বিএনপি ও জামাত নেতার তত্ত্বাবধানে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নেই কোন মাথাব্যাথা। নিয়মিত মাসোআরা পাওয়ার কারণে তারা কোন একশন নেয়না। তবে ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতাকেও বখরা দেয়া হয় বলে জানা যায়।
জানা যায় স্বপ্নপুরী খ্যাত এই পতিতাপল্লীটি শুরু করেছিল জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলার আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। তার বাড়ি গ্রামের বাড়ী হাকিমপুর উপজেলায় হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের আয়ত্ত্বে আনতে আনোয়ারকে সরিয়ে দেয়। তবে সরিয়ে দিলেও তাকে মাসিক নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেয়া হয় বলে জানা গেছে। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান ভুট্টোর ইন্ধনে এই পতিতাপল্লীর নেতৃত্ব নেয় জামাত নেতা নূরে আলম সিদ্দীকি এবং এমাজ উদ্দিন। সহযোগি হিসেবে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম লিয়াজো রক্ষা করে।
এ পতিতাপল্লীর সংবাদ আলোচিত হয় যখন ১৪ আগষ্ট শামিম হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তির ভূয়া স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীসহ চাদনী আবাসিক ভবনের ৯ নং কক্ষে থাকাকালীন রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর স্বপ্নপুরীর আবাসিক কক্ষ গুলোতে দীর্ঘদিন থেকেই অসামাজিক কার্যক্রম (দেহব্যবসা) চলছে। স্বপ্নপুরী কতৃপক্ষ এসকল ব্যবসা পরিচালনা করে বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
স্বপ্নপুরীতে অসামাজিক কার্যক্রম (দেহ ব্যবসা) হয় খবরটি দেশের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে অসামাজিক কার্যক্রম করতে অনেকেই এখানে আসে। এখানকার আবাসিকে স্বপ্নপুরী কতৃপক্ষ অবস্থানরতদের জন্য দেহাপসারিনী জোগান দেন। আবার অনেকে নিজেরাই নারী নিয়ে এসে কক্ষ ভাড়া করে থাকে। এভাবে দীর্ঘদিন থেকে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে দিনাজপুর স্বপ্নপুরী কতৃপক্ষ।
দিনাজপুর স্বপ্নপুরী বিনোদন কেন্দ্রে দীর্ঘদিন থেকে দেহব্যবসা চলছে স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকার কারন সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্বপ্নপুরী কতৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোআরা পাচ্ছেন।
আর স্থানীয় এলাকাবাসী সকল বিষয় জানা সত্তেও স্বপ্নপুরী মালিক কর্তৃপক্ষ জামায়াত বিএনপির হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার সমর্থন থাকায় এবং নিয়মিত মাসোহারা পাওয়ায় প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিতে সাহস পায়না।