দেশে বৈরি রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা পাকিস্তানে আশ্রয় প্রর্থনা করেছে। এ আশ্রয় প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার। কূটনৈতিক সূত্রগুলো খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে।
বিত্তবান নেতারা ইউরোপ এবং দুবাইকে আশ্রয়ের জন্য প্রধান্য দিলে বেশিরভাগ নেতারা পাকিস্তানকেই তাদের রাজনেতিক আশ্রয়ের জন্য উত্তম স্থান হিসেবে বেছে
নিচ্ছে। জানা যায় জামাতে ইসলামীর পাকিস্তান শাখা গত মাসে পাকিস্তান সরকারের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি তালিকা জমা দিয়েছে। তালেবান সমর্থক গোষ্ঠিগুলোর পক্ষ থেকে জামাতকে সহায়তা দানের জন্য সরকারকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে তালেবান সূত্র থেকে জানা যায়।
জামাতের নেতাদের আশ্রয় দানের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার দুজন উপদেষ্টা পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তবে শিবিরের কাউকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে বিএনপি নেতিবাচক মনোভাব দেখায়। জামাতের নিষিদ্ধ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি এখন এককভাবে শক্তিশালী হবার ব্যাপারে আশাবাদি।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয়প্রার্থিদের ছাড় দেয়া হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। জামায়াত শিবিরের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে পাকিস্তান সফর করেছে। তবে তারা পাকিস্তানে আশ্রয় নিলে তাদের সাধারণ নেতাকর্মিদের মাঝে কি প্রভাব পড়বে এ সম্পর্কে কোন মতামত জানা যায় নি।
মন্তব্য করুন