সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রহস্যজনক নীরবতার সুযোগে রাজধানী ঢাকার ৪৯ থানার প্রায় পৌনে ১শ স্পটে ৪ শতাধিক হোটেল ও ২ সহস্রাধিক বাসা-বাড়ী ও ফ্ল্যাটে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা।আর এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।আর তাদেরই খদ্দর হচ্ছেন সেইসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
জানা যায়, বারিধারা বনানী ও গুলশান এলাকার দেড় শতাধিক গেষ্ট হাউজে রাতের বেলায় চলে মদ জুয়া ও দেহ ব্যবসা। কাজ হাসিলের জন্য এখানে প্রায় দেয়া হয় ওম্মা ওম্মা নাইট, থার্সডে নাইট ও ককটেল পার্টি। এসব পার্টিতে দেশী-বিদেশী কলগার্লরা অংশ নিয়ে আগত ভিআইপি অতিথিদের মন রাঙিয়ে তুলে। এছাড়া ৪ শতাধিক হোটেলের পাশাপাশি ২ সহস্রাধিক রেস্তরা, বিউটি পার্লার, ম্যাসেজ পার্লার, ক্লাব, বার, রেষ্ট হাউজ, ফ্ল্যাট ও বাসাবাড়ীতে চলছে দেহ ব্যবসা। জানা যায়, নগরীর ৮৫ ভাগ আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন সাড়ে ৭ হাজার খদ্দেরের সমাগম ঘটে। আর এদের যৌনানন্দ দেয়ার জন্য সাড়ে ৫ হাজার ললনা নিজেদেরকে বিলীয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের দেহ ব্যবসা চলছে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ফ্ল্যাট বাসা কেন্দ্রিক,তাদের রেট তুলনামূলক ভাবে একটু বেশিই।তাছাড়া বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে মনোরঞ্জনের কাজে বাস্ত থাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।গুলশান,নিকেতন,ধানমণ্ডি,বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এইরকম প্রায় ১৯ টি ফ্ল্যাট বাড়ির সন্ধান পান এই প্রতিবেদকরা।এদের রেট তিনহাজার থেকে বিশ হাজার পর্যন্ত রয়েছে বলে জানা যায়।তাছাড়াও দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক গ্রহণ করা হয়। মাদকের ব্যবহার হোটেলেই সবচে’ বেশি নিরাপদ বিশেষত মদ। হোটেলের আসরে বাংলা মদ থেকে শুরু করে দামী গ্রীন লেবেল, হুসকি, রয়াল সেলুট ও জীন ভোদকাসহ সবই চলে। সাধারণ মানুষের চোখে ফাকি দিতে হোটেল নাইট এ্যাংগেল থেকে কোক, পেপসী ও আরসি কোলার খালি বোতলে মদ কিনে নিয়ে যায় খদ্দররা।
উল্লেখ্য যে, আগে বাসাবাড়ী ও ফ্লাটে পতিতাদের জন্য খদ্দর এনে দিত দালালরা আর এখন আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে লোকচক্ষুর অন্তরালে মোবাইলের মাধ্যমেই খদ্দর সংগ্রহ করে। মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর, পশ্চিমআগানগর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আদাবর, শেখেরটেক, লালবাগ, চকবাজার, কোতোয়ালী, ওয়ারী, সুত্রাপুর, ধানমন্ডী, জিগাতলা, কলাবাগান, শুক্রাবাদ, হাতিরপুল, এলিফ্যান্ট রোড, রায়ের বাজার, মিরপুরের টোলারবাগ, পাইকপাড়া, প্রথম ও দ্বিতীয় কলোনী, ফার্মগেট, তেজকুণী পাড়া, নাখাল পাড়া, মুনিপুরী পাড়া, গ্রীনরোড, ইন্দিরারোড, রাজাবাজার, মগবাজার, মালিবাগ, মানিকনগর, সিদ্ধেশ্বরী, ইস্কাটন, শান্তিনগর, কাকরাইল, বেইলি রোড, পরিবাগ, শান্তিবাগ, মতিঝিল, আরামবাগ, শহীদবাগ, কমলাপুর, গোপীবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাও, বাসাবো, কদমতলা, গোড়ান, শনিরআখড়া, ধলপুর, গোলাপবাগ, ধনিয়া, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বারিধারা, বনানী, নিউডিএইচএস, উত্তরা, কামরাঙ্গীরচর, শহীদনগর, ইসলামবাগ ও হাজারীবাগ। উল্লেখিত স্পটগুলোর হোটেল, বাসাবাড়ী ও ফ্লাটে চলছে জমজমাট দেহব্যবসা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের দ্বারা দেহ ব্যবসার মূল স্পটকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।১-ধানমণ্ডি জোন,২-গুলশান-নিকেতন-বারিধারা-নতুনবাজার জোন, ৩-বনানি- নিউডিএইচএস, ৪-উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে পুলিশ বাহিনীকে “মেনেজ’’ করেই চলে এই ধরণের কাজ,মাঝে মাঝে তারাই থাকেন খদ্দর।
মন্তব্য করুন